সবুজায়নে অনন‍্য নজির গড়ে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন সুবীরকুমার দে

3rd September 2021 2:03 pm বর্ধমান
সবুজায়নে অনন‍্য নজির গড়ে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন সুবীরকুমার দে


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : সবুজে ভরিয়ে তুলল স্কুল, দু'বছরের মধ্যে একেবারে পরিবেশ অন্যরকম লকডাউনে কিছু স্কুলের পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়েছে, তার অন্যদিকে এমনি রূপ পেয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আদর্শ বিদ্যালয়,এরকম একটি সরকারি স্কুল দেখলে মনে হবে যেন এটা স্কুল নয় এটা একটি বেসরকারি গার্ডেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে শিক্ষরত্ন পাচ্ছেন সুবীর কুমার দে। 

 স্কুলকে নিয়ে একাধিক স্বকীয় প্রকল্প ও সামাজিক নানা কাজের জন্য এ বার শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন সুবীর কুমার দে। স্কুলের সৌন্দর্য কে নিজের হাতে ধরে রেখেছেন নিজের হাতে প্রধান শিক্ষক, তাঁর স্কুলে বেশিরভাগ প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া। অপুষ্টি, অভাব তাঁদের নিত্যসঙ্গী। তাদের পড়াশোনায় উৎসাহী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বর্ধমানের প্রান্তে কেশবগঞ্জচটি এলাকার আদর্শ বিদ্যালয়। কর্মকাণ্ডের কারিগর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীরকুমার দে। দশ বছর ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। একাধিক সম্মান পেয়েছে স্কুল। স্নাতক হওয়ার পরে স্বাস্থ্য দফতরে বছর চারেক চাকরি করেছেন তিনি। তারপরে স্কুল সার্ভিস কমিশনে উত্তীর্ণ হয়ে রায়না থানার বোড় বলরাম লালবিহারী বিদ্যমন্দিরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে প্রধান শিক্ষক হয়ে আসেন এই স্কুলে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে স্কুল ভবন পড়াশোনার নানা উপাদানে সাজিয়েছেন তিনি। আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, জল পুনর্ব্যবহারের প্রকল্প, স্কুলের ছাদে আনাজ বাগান, পাখিদের জায়গা, ঔষধি গাছ লাগানো, ডিজিটাল গ্রন্থাগার গড়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ‘আদর্শ গ্রুপ‌’ তৈরি করে দুঃস্থ এলাকায় সচেতনতা প্রচার, স্বাস্থ্যবিধি বোঝানো, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের স্কুলের ছাদ বাগানের আনাজ দেওয়ার কাজ করেছে ওই স্কুল। সুবীরবাবুর আমলেই স্বচ্ছ বিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় পুরস্কার, যামিনী রায় পুরস্কার, শিশুমিত্র পুরস্কার, নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কারও পেয়েছে ওই স্কুল। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের তরফে ‘টিচার লার্নিং মেটিরিয়াল পুরস্কার’, সেরা প্রধান শিক্ষকের সম্মানও পেয়েছেন মঙ্গলকোট থানার বাবলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা ওই শিক্ষক। এখনই শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন সুবীর কুমার দে , এই আনন্দ খবর শুনেই  স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা খুবই গর্বিত বোধ মনে করছেন ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।